কবিতা।। শ্রীপর্ণা দে

 অমিল ছন্দের মধ্যে

মেলে না জীবনের অজস্র হিসেব- নিকেশ

তবু মুখবন্ধে কিছু মেলানোর চেষ্টা দিনরাত ;

উৎকণ্ঠায় থাকে ব্যস্ত শহর

ছিনিয়ে নিতে কর্মহীন অবসর।

কানে বাজে জীবনের ওঠাপড়ার শব্দ ,

ছুটে চলে সময় পাহাড়ী নদীর মতো খরস্রোতে

ধুয়ে মুছে যায় আটপৌরে দিনযাপন।

চায় নগরের আবেষ্টনীতে বন্দী প্রাণটাও

নিরুদ্দেশ স্মৃতিপথে শ্যাওলা ধরা অনুভূতি ;

এখনও কিছু সুসজ্জিত প্রচ্ছদ আঁকে ভালোবাসার নামতা

লেখে সংলাপহীন নির্ভেজাল বর্ণপরিচয়।

কাঁদতে ভুলেছে শহরের বাইরে নদীটাও

ভুলেছে হাওয়ায় নিতে মুগ্ধতার নির্যাস।

দেখেছে ঘুণ ধরা সমাজের অবক্ষয় ;

মুখ ফিরিয়েছে এ পৃথিবীও সংগোপনে

মেঘলা আকাশ আজও খোঁজে নতুন সূর্যোদয়।

সবখানেই তুমি

আঁচড় কেটেছে ভোরের নরম আলো

রাতের ম্লান বিছানায়।

তোমার শরীরে নিকোটিনের উগ্রতায়

বিলীন হয়েছে স্নিগ্ধতার মাধুর্য।

চারপাশের শব্দহীনতাকে আঘাত করতে

হাওড়া স্টেশনের কোলাহল থেকে

তুলে এনেছি প্রচলিত কয়েকটা শব্দ।

দূরত্বটা স্পষ্ট হয়েছে আরও

 দূরে গিয়ে কাছে আসার জার্নিতে,

লেগে রয়েছে তোমার নির্বাক ঠোঁটে

মধ্যরাতের কিছু অলিখিত সংলাপ ;

সকাল সকাল একটা ভারিক্কি গুড মর্নিং

বলেছে তোমার পুরনো সেলফোন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *