না লেখা
না হয় একটু বেশীই দিলাম
না হয় তার কিছুটা ঠিকঠাক
বাকিটা অকারণ…
আর মায়ের শীতলপাটি আঁচল
আমার বাবার শাসনসিক্ত ছায়া
আর আমাদের খুনসুটি…
ইচ্ছে করে না লেখা পাতাগুলো এমনই থাক।
সবকিছুই কি লেখা যায় বলো?
কিছু শ্রাবণ থাক না জমে…
ধারাপাতে স্মৃতির ধুলো।

আগাছার স্তুতি
যে পৃথিবীর কালগর্ভে হারিয়ে যায় না নকশালবাড়ি
যে সমাজের আঙুল চুষেও নিমেষে উৎখাত হয় জমিদারী
সেখানেই জন্মেছিল আমাদের মতো বুনো ঘাস
প্রতিপালনের দায়িত্ব না নিলেও যে নিজের গরজে
বাড়তে থাকে, ক্রমশঃ বাড়তেই থাকে
সাধ্যমতো বিস্তার করে নিজের সাম্রাজ্য
তবুও লোকে তাকে আগাছাই বলে।
পায়ে মাড়াতে মাড়াতে তারই ওপর দিয়ে তৈরি হয় পথ
সে পথে সবুজ শহীদ হয়, তবু টিকে থাকে আগাছা
খটখটে শুকনো হয়ে তখন অপেক্ষারত, আর
সেই অন্তিমকালে আমি বারুদ মাখবো আঙুলে।
আগাছা বেঁচে থাকে সূর্যের পথ চেয়ে।

খেলা
বারবার পড়ন্ত বেলা, পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্য
আর নারীর কনে দেখা আলোয় গোধূলি লগন আসে
যতনে সাজিয়ে রাখা শাড়ি খুলে রোদে মেলে ধরা
নিজস্ব উচ্ছ্বাস। আমার সম্মুখে শুধু ধুলো ও বাতাস
উষ্ণ আপ্যায়নের আড়ালে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কৃতকৌশল
অনন্তকালের যত ধূসর পান্ডুলিপির যেন হবে উন্মোচন?
গোবেচারা রাখালের শেষ বাঁশি বেজে গেছে কবে?
এবার তোমার পালা
এভাবেই জলখেলার দিন শেষ হবে।
নিরন্ন জটিল অঙ্কে ভরপেট কেন সুখী নয়,
এ হিসাব মেলাতে বসে শুধু দেখি বিস্ময়।