অপেক্ষায় রোদ্দুর
ভুল গোলার্ধেই যত জট
গোলার্ধ চেনে পাখি
গূঢ় রাতে খোঁজে পথের গোপন
খসড়া যা কিছু লুকিয়ে রেখেছে
বুকে
প্রেমিক হয়েছে নিরুদ্দেশ
মনের শরীরে পচন ধরলে গ্রন্থি ছিঁড়ে যায়
তবুও মহৎ শিল্পী চেতনার কোষে ফুল ফোটায়
দৃষ্টি শুভ হলে এক সাথে পথচলা যায় বহুদূর
বাধার পাহাড় ডিঙ্গোলেই অপেক্ষায় রোদ্দুর।
আঁধারের সুখ
প্রকৃতি তো সাজিয়েছে
যাপনের সব তরিবৎ
শীর্ণকায় নদীর স্রোতে
শুনি ভোরের নহবত।
এখানে কুয়াশামোড়া ভোর
আলোর ঝিকিমিকি
হরিৎ পাতার ফাঁকে
রোদের উঁকিঝুঁকি।
আকাশ ছোঁয়া বনস্পতির নিবিড় মাথা
অহরহ সঙ্গম শেখায় আমাকে
সবুজ মনের বাঁকে খুঁজি আমি
তোমাকে স্ফটিক আলোকে৷
একবন ভয় ভুলে খুঁজি
অগণন ভালোবাসা মুখ
আদিম আলোর পিদিম খোঁজে
যেমন আঁধারের সুখ।
ত্রিশূল
ভুল হাতে ত্রিশূল নাচে
উড়নচণ্ডী পথে
কর্পূরের মতো ভক্তি উড়ে যায় অন্তরীপে৷
পিলসুজে প্রদীপের শিখা কাঁপে থর থর
আরাধ্য দেবতার গায়ে ভীষণ জ্বর৷
মুখোরোচক যা কিছু লিপস্টিক হয়ে
লেগে থাকে ঠোঁটে
পরিযায়ী সবটুকু খায় চেটেপুটে৷
মানচিত্র ভাঁজ হয়
যন্ত্রণায় নীল হয় বুক
ইস্তেহার হলুদ হয় শুধু
ভুখা মানুষের তবুও মেলেনা সুখ৷