কে বলে বাঙালি বিয়ে একদিনের? দু’ দশক আগেও বাঙালি বিয়েতে ভাবতে পারতেন সংগীত, মেহেন্দির কথা? সাবেকিয়ানার সঙ্গে দিব্যি ককটেল হয়ে গিয়েছে এসব প্রাদেশিক রীতি রেওয়াজ। এইসব হুল্লোড়, ঝক্কি সামলে কয়েকটা দিনের দে ছুট। যে নামেই বলুন, হনিমুন… মধুচন্দ্রিমা… আর ধরুন স্বামী ও তার বেটার হাফ দুজনেই কাজ করেন। ব্যস্ত জীবনে এই অন্যতম সফরে গিয়ে কিছু ভুলে গেলে বড্ড মুশকিল। একটু প্ল্যান ওয়াইজ প্যাকিং করলেই আর আপনাদের অন স্পট হতাশ হতে হবে না।
তাই নব বধূর সংসার, অফিস সব সামলে কিভাবে মধুচন্দ্রিমার বাক্সপ্যাটরা গোছগাছ করবেন তারই রইল কিছু টিপস-
১। প্রথমেই একটা লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। এবার যেই জিনিসগুলো গুছোবেন, টিক দিতে থাকুন।
২। যেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন সেই জায়গা অনুযায়ী প্যাকিং করুন। যেমন ঠাণ্ডার জায়গার জন্য গরম জামা কাপড় বেশি করেন ব্যাগে রাখুন। যেমন জ্যাকেট, পুলওভার ইত্যাদি। আবার যদি সি সাইড ঘোরার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে সঙ্গে নিন হালকা জামাকাপড়, ছাতা, টুপি, রোদ চশমা, সানস্ক্রিন। এতে আপনি ওভার প্যাকিং করবেন না।
৩। লাগেজ হালকা রাখুন। ক্যারি করতে সুবিধে হবে। প্রয়োজন হলে দুটো লাগেজ বানান।
৪। ইলেকট্রিসিটি আর মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের যুগে টর্চ অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়। তবুও এটি সঙ্গে রাখুন হঠাৎ আসা সমস্যার জন্য। বিশেষ করে যদি আপনি জঙ্গল ঘুরতে যান তাহলে টর্চ নিতে কখনই ভুলবেন না। পারলে গোটা কয়েক মোমবাতিও।
৫। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন জ্বরের ওষুধ বা অ্যান্টাসিড নিতে কখনই ভুলবেন না।
৬। ছোটোখাটো জিনিস যেমন সূচ, সুতো ব্যাগে নিয়ে নিন।
৭। আপনার কর্ম ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে হোটেল ও ফ্লাইট বুকিং অনলাইন করুন। আজকাল সব হোটেলের ওয়েব সাইটে আপনি সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
৮। দরকারি নথিপত্র, ফ্লাইট টিকিট, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি প্যাকিং করতে গাফিলতি করবেন না।
৯। সঙ্গে রাখুন কিছু শুকনো খাবার। এক স্পট থেকে অন্য স্পট যাওয়ার লম্বা সফরে রোড সাইড ধাবা বা রেস্টুরেন্টের লাঞ্চ অ্যাভয়েড করতে চাইলে শুকনো খাবার কাজে দেবে।
১০। আর প্যাকিং কখনই ফেলে রাখবেন না শেষ মুহূর্তের জন্য। লাস্ট মোমেন্ট উত্তেজনাতে অনেক কিছু আপনি মিস করে যেতে পারেন। তাই একটু আগে থেকে গুছনো শুরু করুন।