সুস্থ থাকুন সারা বছর

গত ১০ বছরে বিশেষ কয়েকটি ডায়েট এবং এক্সারসাইজ বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, যা কিনা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে । এমনটাই বক্তব্য ডক্টরদের। আর তাই তো নতুন বছরেও সেই একই নিয়ম-নীতিগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই অভ্যেসগুলির সঙ্গে ধাতস্থ হতে পারলে হার্টের রোগ ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না। সঙ্গে শরীর বিষমুক্ত থাকবে। ফলে একাধিক জটিল রোগের খপ্পরে পড়়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।

বিশেষ করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এর সঙ্গে শরীরের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে বহু রোগ-ব্যাধিও ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। অন্যদিকে যদি আপনি ডায়েট প্ল্যানের কথা বলেন, তা হলে বলব, এই নিয়মগুলি মেনে চলা শুরু করলে শরীর ফিট থাকবে, এনার্জিও বাড়বে।

Detox ডায়েট

এই নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও ধারণাই ছিল না একসময়। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা শরীর সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়েছি। বুঝতে শিখেছি , নিয়ম করে শরীরকে বিষমুক্ত করতে না পারলে রোগ-ব্যাধির হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। তাই তো ডিটক্স ডায়েটের জনপ্রিয়তা এখন আকাশ ছুঁয়েছে।

ডিটক্স ডায়েট কী? এই ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে নিয়ম করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি এবং ফল খেতে হবে। এতে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কমবে প্রদাহের মাত্রাও, যে কারণে ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।

প্রতিদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গাজর, বিট, পুদিনা পাতা, ধনেপাতা, পালং শাক, মাশরুম, কুমড়ো, বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন অথবা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়ম করে পাতিলেবুর রসও খেতে পারেন। কারণ, পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে।

Pilates  এক্সারসাইজ

এই এক্সারসাইজের নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন কখনও না-কখনও ! তার কারণ, গত এক দশকে পিলাটেস এক্সারসাইজের জনপ্রিয়তা তুমুলে। আর কেন পাবে না-ই বা বলুন তো! শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ানো তো বটেই, পেশির ক্ষমতা বাড়াতে, ওজন কমাতে এবং শরীরকে টোনড রাখতে পিলাটেস এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আর তাই তো ডায়েটিংয়ের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন যদি এই এক্সারসাইজটি করতে পারেন, তা হলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না।

Gluten–ফ্রি খাবার

গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েটের জনপ্রিয়তাও বেশ এখন। বেশ কয়েকটি স্টাডি অনুসারে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে নাকি সেলিয়াক ডিজিস সহ বেশ কিছু জটিল রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

এমনকী, কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে যায়। শুধু এটাই নয়, এনার্জির ঘাটতিও দূর হয় এতে। হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং irritable bowl syndrom-এর মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। বুঝতেই পারছেন, আজকের দিনে সুস্থ থাকতে হলে গ্লুটেন-ফ্রি ডায়েট প্ল্যান মেলে চলাটাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *