বি এ বিউটিফুল Bride

কেয়া শেঠ 

হাতে আর মাত্র কটা দিন। বিয়ের বাদ্যি বাজল বলে। জীবনের এই বিশেষ দিনটিতে পিকচার-পারফেক্ট হয়ে উঠতে আজ থেকেই ত্বক ও চুলের যত্ন নিন। সঠিক রূপচর্চা, ডায়েট ও এক্সারসাইজে হয়ে উঠুন অপরূপা। হবু কনেদের জন্য রইল কমপ্লিট বিউটি গাইড লাইন।

ত্বকের পরিচর্যা- আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরণ আলাদা। কারওর হয়তো তৈলাক্ত ত্বক, কারওর বা শুষ্ক, আবার কারওর ত্বক সাভাবিক বা মিশ্র প্রকৃতির, তাই ত্বকের পরিচর্যা শুরু করার আগে আপনার ত্বকের প্রকৃতি কেমন তা ভাল করে জেনে নিন। কারণ বিয়ের আগে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা করলে তবেই কিন্তু কাঙ্খিত ফল পাবেন।

ত্বকের নিয়মিত যত্ন- বিয়ের আগে দাগ-ছোপহীন উজ্জ্বল, মসৃণ, পেলব ত্বক পেতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। এর জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে না। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং- এই তিনটি বেসিক জিনিস মেনে চললেই যথেষ্ট।

  • ত্বককে রোদ, ধুলো, পলিউশনের হাত থেকে রক্ষা করতে ক্লিনজিং মাস্ট। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঠিকমতো ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বক কিন্তু স্বাভাবিক জেল্লা হারাবে। সাবানের পরিবর্তে অবশ্যই ব্যবহার করুন ভালো কোনও ক্লিনজিং মিল্ক বা জেল। শুষ্ক প্রকৃতির, তাঁরা ক্লিনজিং ক্রিম ব্যবহার করুন। ক্রিম ত্বকের স্বাভাবিক ময়শ্চার ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তাহলে বেসন, মধু ও দুধের সর মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন, মধু ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার। মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ ও কোমল।
  • প্রতিবার মুখ পরিষ্কার করার পর তুলোয় টোনার নিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড় ভালো করে মুছে নিন। টোনার ত্বকে রক্তসঞ্চালন ভাল করতে সাহায্য করে, ত্বক মসৃণ, টানটান ও উজ্জ্বল করে। তবে নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করুন। শসার রসের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে ভরে ফ্রিজে স্টোর করুন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। দেখবেন ত্বকের জৌলুস আগের চেয়ে অনেকটা বেড়ে গেছে।
  • টোনার এর পর ত্বকের ধরণ অনুযায়ী মুখে, গলায়, ঘাড়ে ময়শ্চারাইজার লাগান। শুধু শুষ্ক ত্বকের জন্যই নয় তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও ময়শ্চারাইজিং জরুরি। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা ক্রিম বেসড বা অয়েল বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গোলাপ জল, অ্যালোভেরার রস ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ময়শ্চারাইজার হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
  • ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সপ্তাহে দু’তিনবার স্ক্রাবিং করা একান্ত প্রয়োজন। বাড়িতে ময়দার সঙ্গে দই, ওটমিল, গোলাপজল মিশিয়ে স্ক্রাবার তৈরি করে নিতে পারেন। আরও ভাল ফল পেতে তার সঙ্গে সামান্য চালের গুঁড়ো ও কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে মেশাতে পারেন। সপ্তাহে দু’তিনদিন ভিজে ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে হালকা হাতে সার্কুলার মুভমেন্টে মাসাজ করুন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাক

বিয়ের আগে ত্বকের জৌলুস বাড়াতে সারাদিনে কাজের মাঝে একটু সময় বের করে ফেসপ্যাক লাগান। নিজেকে ভালো রাখতে, সুন্দর দেখাতে এটুকু তো করতেই হবে। একান্তই যদি রোজ সময় না পান তাহলে ছুটির দিনে ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। ফেসপ্যাক ত্বকের ভেতরে গিয়ে পুষ্টি জোগায়, ফলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়ে। ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও প্রাণবন্ত।

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য- ৩ চামচ গাজর বাটা, দু’চামচ বেসন, দু’চামচ মধু ও ১ চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভিজে হাতে ঘষে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য- দু’চামচ মাখনের সঙ্গে দু’চামচ মধু ভাল ভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকে এই প্যাক দারুণ কাজ করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য- ৪ চামচ মটর ডাল বাটার সঙ্গে দু-চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন।এবার মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

চোখের যত্ন-রাত জাগা, অপর্যাপ্ত ঘুম, টেনশন, স্ট্রেস নানা কারণেই ডার্ক সার্কলের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে হালকা হাতে এক মিনিট মাসাজ করুন। নিয়মিত করলে একদিকে যেমন চোখের চারপাশের চামড়া ভাল থাকবে, তেমনই ডার্ক সার্কলের সমস্যাও কমবে।

বলিরেখা- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের চামড়া ক্রমশ কুঁচকে যেতে শুরু করে। ত্বকে সূক্ষ্ণ বলিরেখায় বয়স জানান দেয় তার আগমনবার্তা। তবে আজকের দিনে কাজের চাপ, রোদ, স্ট্রেস, পলিউশন, অপর্যাপ্ত ঘুম- নানা কারণে অনেক কম বয়সেই বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। বলিরেখা সমস্যা কমাতে অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। পাকা কলা ও পাকা পেঁপে একসঙ্গে চটকে নিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভাল করে মুখ ধুয়ে নারকেল তেল লাগিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করুন। নারকেল তেলের অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি বলিরেখা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

ঠোঁটের যত্ন- বিয়ের দিন ফাটা ঠোঁটে যত সুন্দর লিপস্টিকই লাগান না কেন, দেখতে মোটেই ভাল লাগবে না। তাই ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকলে বিয়ের আগেই ঠিক করে নিন। প্রতিদিন স্নানের আগে ঠোঁটে দুধের সর লাগিয়ে একঘন্টা রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। স্নানের পর ভেজা তোয়ালে দিয়ে হালকা হাতে ঠোঁট ঘষুন। এতে ঠোঁটের ডেড সেল দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখবেন, ঠোঁটের চামড়া কিন্তু খুব পাতলা হয়, তাই ভুলেও জোরে ঘষবেন না। রাতে শুতে যাওয়ার আগে গোলাপ জল ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ফাটা ঠোঁট হয়ে উঠবে কোমল।

হাত ও পায়ের যত্ন- হাত ও পায়ের রুক্ষতা, ভাঙা নখ, শাড়ির ফাঁক দিয়ে উঁকি মারা ফাটা গোড়ালি কিন্তু নিমেষে আপনার বিয়ের সাজগোজকে মাটি করে দিতে পারে। তাই বিয়ের আগে ত্বক ও চুলের যত্নের পাশাপাশি হাত ও পায়ের যত্ন নিন।

প্রতিবার হাত ধোওয়ার পর হাতে ভাল করে ময়শ্চারাইজার বা বডি লোশন লাগিয়ে মাসাজ করুন। আধঘন্টা পর স্নান করুন। স্নানের পর ত্বক ভিজে থাকা অবস্থাতেই হাতে ও পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ভাল করে পা পরিষ্কার করে নিয়ে ফুট ক্রিম লাগিয়ে নিন। পা ফাটার সমস্যা থাকলে গ্লিসারিন ও মধু মিশিয়ে লাগান। নিয়মিত এক সপ্তাহ লাগিয়ে দেখুন। আপনার গোড়ালি হয়ে উঠবে নরম ও পেলব।

চুল ভাল রাখার কয়েকটি টিপস- ভিজে চুল কখনই আঁচড়াবেন না। আধ শুকনো হলে আঙুল দিয়ে প্রথমে ভাল করে জট ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান। বড় দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। জোরে চুল আঁচড়াবেন না। প্রথমে ডগার দিকে জট ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর আস্তে আস্তে গোড়ার দিকে আঁচড়ান। স্প্রে যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করাই ভাল।

বিয়ের আগে স্পা-তে গিয়ে পরিচর্যা

বিয়ের আগে চটজলদি চেহারার জৌলুস বাড়াতে বা স্ট্রেস কমাতে হোক কিংবা রেজুভিনেট করতে স্পা-এর দ্বারস্থ হচ্ছেন অনেকেই। হাজার ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করতে তো হবেই আপনাকে। স্পা-তে গিয়ে একই ছাদের তলায় ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দীপ্তিও বাড়াতে পারবেন। একঢাল ঘনকালো রেশমের মতো চুল পেতে রয়েছে হেয়ার স্পা। ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে রয়েছে ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট। এছাড়াও রয়েছে নানা ধরণের মাসাজ, স্নান আরও অনেক কিছু।

ফেসিয়াল মাসাজ- বিয়ের আগে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে স্পা-তে হোয়াইটনিং ফেসিয়াল করাতে পারেন। ত্বকের জেল্লা তো বাড়বেই, রোদে পুড়ে আপনার ত্বক যদি ট্যানড হয়ে যায় তাহলেও হোয়াটনিং ফেসিয়াল করালে ট্যান নিমেষে দূর হয়ে যাবে। বিয়ের আগে ত্বকের চটজলদি জেল্লা বাড়াতে লেজার ফেসিয়াল করাতে পারেন। শুষ্ক, তৈলাক্ত বা স্বাভাবিক- সব ধরণের ত্বকের জন্যই এই ফেসিয়াল খুব ভাল। ডার্কস্পট, ড্যামেজড স্কিনের সমস্যাতেও এই ফেসিয়াল মাসাজ দারুণ কাজ দেয়।

বডি স্পা- বিয়েতে শাড়ির সঙ্গে লো কাট ব্লাউজ তো অবশ্যই পরবেন। তাই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করার আগে ভালো করে পিঠ ও শরীরের অন্যান্য অংশের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, চকচকে ত্বকের জন্যই হোক বা বিয়ের আগে স্ট্রেস কমাতে বডি স্পা-র কোনও বিকল্প নেই। বডি স্পা মাসাজের ফলে শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হয়, ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় থাকে, ত্বক শুধু মসৃণ, কোমলই হয় না, জেল্লাও বহুগুণ বেড়ে যায়। স্পা-র মৃদু আলোয়, এসেনশিয়াল অয়েলের সুবাসে আপনার মন থেকে টেনশন নিমেষে দূর হয়ে যাবে, রিল্যাক্সড লাগবে।

হেয়ার স্পা

শুধুমাত্র ত্বকের যত্ন নিলেই তো হবে না, বিয়ের দিন পিকচার পারফেক্ট হয়ে উঠতে চুলের দিকেও কিন্তু সমান নজর দিতে হবে। মাসে দুটো করে হেয়ার স্পা করান। সময় না পেলে অন্তত একবার করে তো করাতেই হবে। চুল সুন্দর হলে তবেই না বিয়ের দিন সুন্দর বাহারি খোঁপা করলে মানাবে। হেয়ার স্পা-তে প্রফেশনাল আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করবেন। রুট নারিশিং, অয়েল মাসাজ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং, হেয়ার মাস্কের সাহায্যে চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনা হয় ও নানা সমস্যার সমাধান করা হয়।

ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর

কোমল সুন্দর হাত, পা ও নখের জন্য ম্যানিকিওর করাতে পারেন। ওজন, রাউন্ড, স্কোয়ার- আপনার পছন্দ মতো শেপে নখ শেপ করে নিন। হবু কনেরা নেল আর্টও করাতে পারেন, হাতের সৌন্দর্য অনেকগুণ বেড়ে যাবে, দেখতে সুন্দর লাগবে।

ফুট স্পা

বিয়ের আগে পায়ের জেল্লা বাড়াতে ফুট স্পা করুন। স্পা-তে দক্ষ প্রফেশনালরা বিভিন্ন মাসাজ টেকনিকের দ্বারা পায়ের ত্বক ও গোড়ালি মাসাজ করেন। ফলে পায়ের জমে থাকা ধুলোবালি, নোংরা, মরা কোষ পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হয়। দেখবেন সমস্ত ক্লান্তি এক নিমেষে দূর হয়ে যাবে, রিল্যাক্সড লাগবে।

থ্রেডিং

বিয়ের আগে আইব্রো শেপ করিয়ে নেবেন। আপনার মুখের আকৃতি ও কপাল চওড়া না ছোট, তার ওপর ভিত্তি করে মোটা বা সরু করে আইব্রো শেপ করাবেন। সঙে পুরো কপাল ও আপার লিপ থ্রেডিং করিয়ে নিতে ভুলবেন না।

ওয়াক্সিং

অবাঞ্ছিত রোম দূর করতে হেয়ার রিমুভিং ক্রিম বা এপিলেটর ব্যবহার না করাই ভাল। রেজার দিয়ে শেভিং তো করবেনই না। ভাল কোনও স্পা-তে গিয়ে বিয়ের আগে হাতে ও পায়ে ওয়াক্সিং করিয়ে আসুন। ইচ্ছে হলে ফুল বডি ওয়াক্সও করাতে পারেন। হাত ও পায়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই আন্ডারআর্ম ওয়াক্সিং করাবেন।

শুধু রূপচর্চা করলেই হবে না। বিয়ের দিন অপরূপা হয়ে উঠতে ফিগারটাও ঠিক করতে হবে। তাই বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই মানে সময় থাকতে থাকতেই খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দিন। আর অবশ্যই যেন শরীরচর্চা থাকে রুটিনে। শুধু বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতেই নয়, ফিট থাকতে এক্সারসাইজ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রিতিদিন একঘন্টা করে কার্ডিও এক্সারসাইজ( জোরে হাঁটা, জগিং, স্কিপিং, সাঁতার কাটা) করুন।

 

ভাবছেন রূপচর্চা, ডায়েটিং, এক্সারসাইজ- এত কিছু করার জন্যে সময় কোথায়? একটু অভ্যেস করে নিলেই দেখবেন, অনেক সহজ হয়ে গেছে। সবশেষে বলি, বিয়ের এই বিশেষ দিনটির জন্য যে গাইডলাইন দিলাম তার সবটা সম্ভব না হলেও কিছুটা আপনার দৈনন্দিন রুটিনের অঙ্গ করে নিন। আশা করি, হবু কনেরা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন বিয়ের দিনটিতে পিকচার পারফেক্ট দেখাতে আপনাকে ঠিক কী কী করতে হবে। তাহলে আর দেরি না করে এখন থেকেই উঠে পড়ে লাগুন। নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *